সাধারণ তথ্য

বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
জন্মসন 18/02/1997
পেশা শিক্ষার্থী
উচ্চতা ৫′ ২″
গাত্রবর্ণ উজ্জ্বল শ্যামলা
ওজন ৫০ কেজি
রক্তের গ্রুপ O+

ঠিকানা

স্থায়ী ঠিকানা গোয়ালচামট, ফরিদপুর সদর, ফরিদপুর
বর্তমান ঠিকানা স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা একই, ,
কোথায় বড় হয়েছেন? ফরিদপুরে

শিক্ষাগত যোগ্যতা

সর্বোচ্চ ডিগ্রী স্নাতকোত্তর
এস.এস.সি / দাখিল / সমমান বিজ্ঞান বিভাগ , পাসের সনঃ 2014, ফলাফলঃ A+ (All subjects)”
এইচ.এস.সি / আলিম / সমমান বিজ্ঞান বিভাগ , পাসের সনঃ 2016, ফলাফলঃ A+ (All subjects)”
স্নাতক (সম্মান) সাবজেক্টঃ সায়েন্সের একটি ইনস্টিটিউট, পাসের সন: ২০২২ (পরীক্ষার সন ২০২০, করোনার জন্য দেরি হয়েছে)
স্নাতকোত্তর সাবজেক্টঃ সায়েন্সের একটি ইনস্টিটিউট, পাসের সন: ২০২৩ (পরীক্ষা দিয়েছি, ফলাফল প্রকাশিত হয়নি)
অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা
দ্বীনি শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যাসিক আক্বিদা কোর্স (আল-আক্বিদাতুত ত্বহাবী): আসলাফ একাডেমি

পারিবারিক তথ্য

আপনার পিতা কি জীবিত? হ্যাঁ, জীবিত
পিতার পেশার বিবরণ ব্যবসায়ী, গাড়ির পার্টসের ব্যবসা করেন
আপনার মাতা কি জীবিত? হ্যাঁ, জীবিত
মাতার পেশার বিবরণ গৃহিনী
ভাইদের তথ্য ১ ভাই, বি.এস.সি. ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবাহিত, একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে আছেন
বোনদের তথ্য ১ বোন, ইন্টারমিডিয়েট চলমান, অবিবাহিত, ফরিদপুরের একটা মহিলা কলেজে পড়ছে
চাচা মামাদের পেশা
পারিবারিক অর্থনৈতিক অবস্থা মধ্যবিত্ত
অর্থনৈতিক অবস্থার বর্ণনা আমরা খুব উচ্চবিত্ত নই। তবে আল্লাহ যা দিয়েছেন সেটা দিয়ে আল্লাহর রহমতে ভালোভাবে সম্মানের সাথে জীবনযাপন করা যায়। মধ্যবিত্ত এবং সামাজিকভাবে সম্মানিত আলহামদুলিল্লাহ।
পারিবারিক দ্বীনি পরিবেশ কেমন? আমার পরিবার বেশিরভাগ মুসলিম পরিবারের মতোই, প্র্যাক্টিসিং নয়। সঠিক বুঝ না থাকায় সবাই দ্বীনের প্রতি অতোটা সিরিয়াস নয়। আমিও আগে এমন ছিলাম। আল্লাহ অশেষ দয়া করে আমাকে হেদায়েত দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। সবাই দ্বীনের বিধানগুলো সেভাবে মেনে চলে না সিরিয়াসলি পুরোপুরি, মোটামুটি নামাজ পড়ে, ফরয রোযা রাখে, যাকাত ও কুরবানী সঠিকভাবে আদায় করা হয় আলহামদুলিল্লাহ। তবে আল্লাহর দয়ায় পরিবারের অবস্থা আগের থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ভাইয়া হালাল-হারামের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। ভাবী এবং ছোট বোন সেভাবে মাহরাম মেইনটেইন না করলেও পর্দার ব্যাপারে আগের তুলনায় সচেতন হয়েছে মা শা আল্লাহ, এবং নিজেদের আত্মীয় ছাড়া বাকি গায়রে মাহরামদের সামনে পর্দা করে দেখা দেয়। মা পর্দা করে না তবে বাইরে গেলে বোরকা-নিক্বাব পড়ে।

ব্যক্তিগত তথ্য

ঘরের বাহিরে সাধারণত কি ধরণের পোষাক পরেন? নরমাল কালো বোরকা, নিক্বাব, ফুল হাত মোজা ও পা মোজা
কবে থেকে নিকাব সহ পর্দা করছেন? ২০২০ সালের মাঝামাঝি থেকে
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন? কবে থেকে পড়ছেন? জ্বি আলহামদুলিল্লাহ, তবে মাঝে মাঝে ফজরে উঠতে দেরি হয়ে যায় বা কাযা হয়ে যায়। এমনটা হলে ঘুম থেকে যখন উঠি তখন পড়ে নেই। ক্লাস ৯ থেকে নামাজ পড়ি আলহামদুলিল্লাহ। তবে আগে সেভাবে সিরিয়াস ছিলাম না। করোনার সময় থেকে সিরিয়াস হয়েছি এবং তখন থেকেই মূলত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি আলহামদুলিল্লাহ
সাধারণত সপ্তাহে কত ওয়াক্ত নামায আপনার কাযা হয়? সেভাবে নির্দিষ্ট নয়।
মাহরাম/নন-মাহরাম মেনে চলেন কি? জ্বি, যথাসাধ্য চেষ্টা করি। অনেক সময় পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক কারণে পুরোপুরি সম্ভব হয়ে ওঠে না।
শুদ্ধভাবে কুরআন তিলওয়াত করতে পারেন? কুরআন পড়তে পারি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু তাজউঈদে এখনো কিছু ভুল হয়ে যায়। ঠিক করার নিয়্যাতে আছি। ওয়ামা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ
কোন ফিকহ অনুসরণ করেন? হানাফি
নাটক / সিনেমা / সিরিয়াল / গান এসব দেখেন বা শুনেন? আলহামদুলিল্লাহ দেখি না এবং এসব একদমই পছন্দ করি না
আপনার মানসিক বা শারীরিক কোনো রোগ আছে? মাঝে মাঝে গ্যাস্ট্রিকের প্রব্লেম হয় একটু। আমার একটা পা হিপ পোরশন থেকে নেই। ছোটোবেলায় স্কুল লাইফ শুরু হয়েছে মাত্র, এই বয়সে রোড এক্সিডেন্টে পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এখন স্ট্রেচার ইউস করে কারো সাহায্য ছাড়াই চলাফেরা করি এবং নিজের কাজ নিজে করতে পারি আলহামদুলিল্লাহ।
দ্বীনের কোন বিশেষ মেহনতে যুক্ত আছেন? না যুক্ত নেই। আমি নিজে শিখছি এবং আমার পক্ষে যতোটা সম্ভব পরিবার, বান্ধবী ও কাছের মানুষদের দাওয়াহ দেওয়ার চেষ্টা করি। ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে সুযোগ হলে কোনো খেদমতে যুক্ত হবার ইন শা আল্লাহ।
মাজার সম্পর্কে আপনার ধারণা বা বিশ্বাস কি? মাজারে গিয়ে কোনো কিছু চাওয়া, সিজদাহ দেওয়া শিরক। কাওকে জানানোর পরেও এমনটা করলে সেটা সুস্পষ্ট কুফর।
আপনার পড়া হয়েছে এমন অন্তত ৩ টি ইসলামি বই এর নাম লিখুন তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন, ফেরা, ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে, মৃত্যু থেকে কিয়ামাত, আত্মার পরিচর্যা
আপনার পছন্দের অন্তত ৩ জন আলেমের নাম লিখুন শায়েখ আহমাদুল্লাহ, ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ( রহিমাহুল্লাহ), শায়েখ মিজান হারুন
নিজের সম্পর্কে কিছু লিখুন আমি আসলে প্রতিনিয়ত নফসের সাথে যুদ্ধরত আল্লাহর পাপী এক বান্দী। ছোটবেলা থেকে দ্বীনি পরিবেশ পাইনি। জীবনের ২৩ বছর বয়সে এসে করোনার সময়টাতে আল্লাহ আমাকে দ্বীনের বুঝ দিয়েছেন এবং পর্দার বিধান আঁকড়ে ধরার সৌভাগ্য দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আমাকে কতটুকু কবুল করেছেন সেটাতো একমাত্র আল্লাহই জানেন। আমি নিজেকে খুব বেশি হয়তো উন্নত করতে পারিনি, কিন্তু এখনো নিজেকে আল্লাহর জন্য পরিবর্তন করার চেষ্টায় রত আছি। আমার তেমন কোনো দুনিয়াবি ও দ্বীনি যোগ্যতা নেই। নিজের গাফলতি ও পারিপার্শ্বিক কারণেই আসলে খুব বেশি দ্বীন নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ হয়নি। দ্বীনের বুঝ আসার পরে অনার্স শেষ করে আর সহশিক্ষা কন্টিনিউ করতে ইচ্ছা করছিল না। কিন্তু সার্বিক বিবেচনায় কন্টিনিউ করেছি, তা নাহলে হয়তো পরিস্থিতি যেটা হতো আমি নিতে পারতাম না। এটা অবশ্যই আমার ঈমানী দুর্বলতা স্বীকার করছি। এখানে আমি যে কি পরিমাণে কষ্ট পেয়েছি সেটা শুধু আমি আর আমার রবই জানেন। আমি শুধু প্রতিক্ষায় আছি আল্লাহ আমাকে কবে দুনিয়াবি সবকিছু এবং সবার দুনিয়াবি চাওয়া পাওয়া থেকে মুক্তি দিবেন, আর আমি ইলম ও আলমে নিজেকে এগিয়ে নিবো। কোনো দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের সান্নিধ্যে ইলম অর্জনের ইচ্ছা সেই দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর থেকেই লালন করে আছি! আরবি শেখার খুব ইচ্ছা করে। জানি না আল্লাহ কবে কবুল করবেন। আমার ইসলামিক বই পড়তে ও সংগ্রহ করতে অনেক ভালো লাগে। তবে খুব বেশি বই পড়া হয়নি এখন পর্যন্ত, কিছু বই সংগ্রহে আছে। প্রতিদিন অল্প করে হলেও কুরআনের সাথে কাটানোর বা তাফসীর পড়ার চেষ্টা করি। অবসর সময়ে মূলত ইসলামিক বই পড়ি, ইসলামিক লেকচার শুনি এবং অনলাইনে বোনদের দ্বীনি হালাকাতে যোগ দেই। কাছের মানুষদেরকে হাদিয়া দিতে আমার খুব ভালো লাগে। অল্পে তুষ্ট থাকার এবং সাধারণ জীবন যাপনের চেষ্টা করি। আমি একটু ইমোশোনাল, নরম স্বভাবের ও ইন্ট্রোভার্ট টাইপের। তবে কাছের মানুষদের সাথে আর কারো সাথে মিশে গেলে অনেক কথা বলি। কারো কাছ থেকে কষ্ট পেলেও ক্ষমা করে দেওয়ার চেষ্টা করি সবসময়। একটা দ্বীনি পরিবেশ ও পরিবারের স্বপ্ন দেখি যেখানে আমার দ্বীন পালনে কোনো বাধা থাকবে না এবং আমি একটা ভালো পরিবেশ ও সাপোর্ট পাবো। দ্বীনের জন্য কিছু করার স্বপ্ন দেখি। ভবিষ্যতে বায়তুল্লাহর মুসাফির হওয়ার স্বপ্ন দেখি। আমরা কেউই ভুলের উর্দ্ধে না, আমিও এর ব্যতিক্রম নই। সেজন্য কেউ সুন্দরভাবে ভুল ধরিয়ে দিলে সেটা শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু কেউ খোঁচা মেরে কথা বললে অনেক খারাপ লাগে। সাধ্যের মধ্যে পরিবার ও কাছের মানুষদের ইসলাম সম্পর্কে সচেতন করার চেষ্টা করি। আমি প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে খুব বেশি যাই না, ঘরে থাকাই পছন্দ করি। তবে মাহরামদের সাথে ঘুরতে পছন্দ করি। ইসলামের বিধানগুলো মানার যথাসাধ্য চেষ্টা করি, যদিও পুরোপুরি সম্ভব হয়ে উঠে না অনেক সময়। দ্বীনের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়াটা পছন্দ করি না। আমি আমার নন-মাহরাম রিলেটিভ যেমন- কাজিন, খালুদের সামনে খুব নিরুপায় না হলে পর্দা করেও যাই না বিনা প্রয়োজনে। খুব কষ্ট লাগে নন-মাহরাম কারো সামনে যেতে হলে বা ইন্টারাকশন করতে হলে। ইন শা আল্লাহ বিয়ের পরেও আমি শ্বশুরবাড়ির নন-মাহরাম আত্মীয়দের সামনে খুব জরুরত ছাড়া পর্দা করেও যাবো না। আল্লাহ যেন আমার জন্য তেমন পরিবেশের ব্যবস্থা করে দেন। আশা করি আমার জীবনসঙ্গী এই ব্যাপারে আমাকে সর্বোচ্চ সাপোর্ট দিবেন এবং আমাকে মুক্তার মতো আগলে রাখবেন। দ্বীনের পথে একেবারে নতুন না হলেও নতুনের মতোই মনে করতে পারেন আমাকে। আমার অনেক ভুল আছে, আমি এখনো শিখছি এবং নিজেকে পরিবর্তন করার এখনো অনেক পথ বাকি। এই পথে এমন কাওকে পাশে পেতে চাই যার হাত ধরে আমি সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাবো, যিনি আমার সুখ-দুঃখের ভাগীদার হবেন এবং আমার দ্বীনি স্বপ্নগুলো পূরণে পাশে থাকবেন। কাছের কেউ আমার সাথে একটু রাগ করলে ইমোশোনাল হয়ে যাই এবং কষ্ট পেয়ে যাই। মাঝে মাঝে আপনজনদের সাথেই একটু রাগ বা অভিমান করে ফেলি। কিন্তু কারোর উপর রাগ করে থাকতে পারি না। আমার যেকোনো কাজ করতে সাধারণত একটু বেশি সময় লাগে।

পেশাগত তথ্য

পেশা শিক্ষার্থী
পেশার বিস্তারিত বিবরণ আমার একাডেমিক পড়াশোনা শেষ। তবে আমি আমার একাডেমিক জ্ঞানকে কাজে লাগানোর নিয়্যাতে এখনো পড়াশোনা করছি এবং আরও জানার চেষ্টায় আছি। সেজন্য আমাকে একজন শিক্ষার্থীই বলতে পারেন। ইচ্ছা আছে শরয়ী সীমার মধ্যে আপাতত নিজের হালাল ইনকাম, সেই সাথে দ্বীনের জন্য মেয়েদের মধ্যে কিছু করা অফলাইন বা অনলাইনে। আল্লাহ কবুল করলে আমার সাবজেক্ট থেকে সেই সুযোগ আছে ইন শা আল্লাহ । বিস্তারিত এখানে বলছি না, বায়োডাটা পছন্দ হলে পরে পরবর্তীতে জানানো হবে।

বিবাহ সম্পর্কিত তথ্য

অভিভাবক আপনার বিয়েতে রাজি কি না? জ্বি
আপনি কি বিয়ের পর চাকরি করতে ইচ্ছুক? না। আমার বিয়ের পরে বাসার বাইরে গিয়ে চাকরি করার ইচ্ছা নেই। তবে জীবনসঙ্গীর সাপোর্ট পেলে বাসায় থেকেই দ্বীনের খাতিরে নিজের জ্ঞানকে শরয়ী সীমার মধ্যে কাজে লাগানোর এবং হালালভাবে কিছু করার সুযোগ থাকলে সেটা করার ইচ্ছা আছে, সবার হক্ব আদায় করার পর বাকি সময়টাতে ইন শা আল্লাহ।
বিয়ের পর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান? যেকোনোভাবে হলেও দ্বীনি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চাই। জীবনসঙ্গী ও তার পরিবার সাপোর্টিভ হলে আশা রাখি সব দায়িত্ব ও সবার হক্ব আদায় করে আমি অল্প অল্প করে হলেও দ্বীনি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবো ইন শা আল্লাহ। পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী অনলাইনে উপকারী কোর্স করতে ইচ্ছুক
বিয়ের পর চাকরি চালিয়ে যেতে চান? প্রযোজ্য নয়
কেন বিয়ে করছেন? বিয়ে সম্পর্কে আপনার ধারণা কি? বিয়ে রসুলুল্লহ (সল্লাল্লহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাহ এবং একটা ইবাদত। বিয়ের মাধ্যমে একজন হালাল দ্বীনদার জীবনসঙ্গীর সংস্পর্শে দ্বীনের পূর্ণতা লাভ হয়। ফিতনাময় এই যুগে নিজের ঈমান, আমল টিকিয়ে রাখতে এবং চরিত্র হেফাজতের জন্য একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গীর কোনো বিকল্প নেই। আমি আল্লাহর কাছে বিয়ের মাধ্যমে একজন উত্তম মাহরাম চাই যিনি আমাকে এই ফিতনাময় সমাজে আগলে রাখবেন, আমার সুখ-দুঃখ ও দ্বীন পালনের সাথী হবেন, আমাকে বাইরে গিয়ে চাকরি করতে হবে না। বিয়ের মাধ্যমে একটা সুন্দর দ্বীনদার পরিবেশের স্বপ্ন দেখি যেখানে আমার পর্দা ও দ্বীন পালনে কোনো সমস্যা হবে না, আমি এখনকার চেয়ে একটা উত্তম পরিবেশ ও সাপোর্ট পাবো, এমন একজনকে পাবো যিনি আমাকে দ্বীন পালনে অনুপ্রেরণা, উৎসাহ ও রিমাইন্ডার দিবেন ইন শা আল্লাহ। জীবনসঙ্গীর সংস্পর্শে একটা সুন্দর প্রজন্ম ও দ্বীনদার পরিবার গঠন করতে চাই।

প্রত্যাশিত জীবনসঙ্গী

বয়স ২৭ থেকে ৩৭
গাত্রবর্ণ যেকোন
উচ্চতা আমার সাথে মানানসই (ন্যূনতম ৫’৫”)
পাত্রের প্রতিষ্ঠান ঢাবির বাইরেও আগ্রহী
শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম অনার্স বা সমমানের মাদ্রাসা লেভেল
জেলা ঢাকা, খুলনা, কুষ্টিয়া, গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, ঝিনাইদহ, নড়াইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর
বৈবাহিক অবস্থা অবিবাহিত
পেশা যেকোনো হালাল সরকারি বা বেসরকারি চাকুরি। দ্বীনদারিতা এবং অন্যান্য দিক চিন্তা করে অন্য পেশার কাওকে প্রাধান্য দেওয়া হবে ইন শা আল্লাহ। ব্যাংকের চাকুরি, পুলিশ, আইনজীবী এমন পেশাসমূহ প্রযোজ্য নয়।
অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমান সময়ে দ্বীন মেনে সম্মানের সাথে চলার জন্য যতটুক না হলেই নয় কমপক্ষে এতটুকু থাকতে হবে। সেই সাথে পর্দা এবং দ্বীন পালনের অনুকূল পরিবেশ হতে হবে।
জীবনসঙ্গীর যেসব বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলী প্রত্যাশা করেন জীবনসঙ্গী হিসেবে এমন কাওকে চাই যিনি একজন প্র্যাক্টিসিং মুসলিম, জীবনের সকলক্ষেত্রে কুরআন ও সুন্নাহকে প্রায়োরিটি দেন এবং সেভাবে জীবনযাপন করেন। অবশ্যই সুন্নাহ পরিমাণ ওয়াজিব দাঁড়ি থাকতে হবে, টাখনুর উপর পোশাক পরিধান করেন, ব্যক্তিগত ও প্রফেশনাল লাইফে মাহরাম, গায়রে-মাহরাম ও হালাল-হারাম যথাযথভাবে মেনে চলেন, দৃষ্টির হেফাজত করেন। জামায়াতের সাথে স্বলাত আদায়কারী। অল্প হলেও প্রতিদিন কুরআনকে সময় দেন। ইসলামের মৌলিক বিধান সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান থাকতে হবে ও সহীহ আক্বীদার হতে হবে। আমি সব মাজহাবকে সম্মান করি। তবে ব্যক্তিগতভাবে জীবনসঙ্গী হিসেবে হানাফি মাযহাবের কাওকে চাই। খুব করে চাই আমার জীবনসঙ্গী যেন অন্তরে কুরআনকে ধারণ করেন। দ্বীন সম্পর্কে অনেক বেশি না জানলেও, জানার এবং ইলম অর্জনের আগ্রহ থাকতে হবে। দুজনে মিলে একসাথে দ্বীনি ইলম অর্জন করতে চাই ইন শা আল্লাহ। সরাসরি দ্বীনি ইলমের সাথে জড়িত এবং ইসলামিক বই পড়ুয়া এমন কেউ হলেতো মনের একটা নেক চাওয়া আল্লাহ মিলিয়ে দিলেন। বান্দার হক্ব সম্পর্কে সচেতন, দাওয়াহ দেওয়ার এবং উম্মাহকে নিয়ে চিন্তা ফিকির করার মানসিকতা থাকবে এমনটা চাই। অবশ্যই আমার পর্দা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং পর্দার পূর্নাঙ্গ ব্যাবস্থা করতে হবে। যেহেতু আমি নন-মাহরাম কারো সাথে খুব জরুরত ছাড়া পর্দা করেও দেখা দেই না, সেজন্য গায়রোতবোধ থাকতে হবে এবং আমাকে সকল ধরনের নন-মাহরাম হোক শ্বশুরবাড়ির বা অন্য কেউ তাদের থেকে আগলে রাখতে হবে, যেভাবে আমরা মূল্যবান জিনিস আগলে রাখি। একজন তাকওয়াবান, সৎ, নিষ্ঠাবান, দায়িত্বশীল, শ্বশুরবাড়ির প্রতি পজিটিভ এবং সবাইকে সম্মান করতে জানে। আমার বাবা-মাকে নিজের বাবা-মায়ের মতো ভালোবাসতে হবে। আমার শারীরিক অবস্থাকে (পাত্র ও তার পরিবারের সবাই) মন থেকে মেনে নিতে পারবে এবং কখনো এটা নিয়ে কথা শুনাবে না, আমার প্রতি সবসময় সাপোর্টিভ থাকতে পারবে এমন মানসিকতার হওয়া চাই। বিয়ের পর শরয়ী জরুরত ছাড়া আহলিয়ার চাকরি না করার প্রতি সাপোর্টিভ এবং ইনকাম যতটুকুই হোক না কেন আল্লাহর উপর ভরসা রেখে অল্পে তুষ্ট থাকার মানসিকতা থাকা ও ধৈর্য্যশীল হওয়া চাই। আমার মধ্যে একটু বাচ্চা স্বভাব আছে এবং বয়স অনুযায়ী কিছু কিছুক্ষেত্রে সবার সাথে তুলনা করলে একটু কম বুঝি বা দেরিতে বুঝি, তবে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বললে বুঝে যাই। সেজন্য আমাকে নিজের মতো করে বুঝিয়ে নেওয়ার এবং হিকমাহ সহকারে সবকিছু ম্যানেজ করার মতো মানসিকতা থাকতে হবে। আমি অনেক নরম, সেজন্য ঠান্ডা মেজাজের কাওকে আশা করি। তবে একটু রাগী হলেও, রাগ কন্ট্রোল ও সববের সাথে পরিস্থিতি কন্ট্রোল করা জানতে হবে। রাগ পুষে না রেখে সবকিছু স্পষ্ট করে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলার ও আল্লাহর জন্য সবাইকে মাফ করে দিতে পারে এমন হতে হবে। মোটকথা উত্তম আখলাকের হতে হবে। যুহদ অবলম্বন বা সাধারণ জীবনযাপন এবং সুন্নাহ অনুযায়ী বিয়ে করার মানসিকতা থাকা চাই। আমার অনেক দ্বীনি কমতি রয়েছে। তার পরেও জীবনসঙ্গী হিসেবে এমন কাউকেই চাই যার দ্বীনি অবস্থান আমার উপরে, যাতে কখনো স্রোতে তলিয়ে না যাই। সবার মধ্যেই কিছু না কিছু ভুলত্রুটি বা কমতি আছে। সেজন্য ১০০% হতে হবে এমনটা এক্সপেক্ট করিও না। আমার জন্য কল্যানকর এমন চক্ষুশীতলকারী কাওকে আল্লাহ মিলিয়ে দিক, আমীন। 🟪 কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা:

* (১) আমার একটা পা নেই দেখে শারীরিক কন্ডিশনের জন্য ওজনটা একটু কম, সবসময় ৪৮-৫০ এর মধ্যে থাকে। স্বাভাবিক অবস্থায় হলে হয়তো আরও বেশি আসতো।

* (২) আমার গায়ের রং অনেকে ফর্সা বলেন। আমার কাছে উজ্জ্বল শ্যামলা মনে হয়।

*জীবনসঙ্গীর জেলার ক্ষেত্রে ফরিদপুর, এর পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহ ও ঢাকার মধ্যে হলে বেশি ভালো হয়। অন্য জেলাসমূহের হলেও দ্বীনদারিতা ও সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় ডিসিশন নেওয়া হবে ইন শা আল্লাহ।

• (৩) আমার বাসার বাইরে গিয়ে চাকরি করার ইচ্ছা নেই। বাসায় সেরকম দ্বীনি পরিবেশ নেই। সবাই আমার শারীরিক অবস্থার জন্য আমাকে নিয়ে অনেক চিন্তা করে দেখে সরকারি চাকরি করতে বলে, প্রস্তুতি নিয়ে চাকরির পরীক্ষা দিতে বলে। তা নাহলে নাকি এভাবে বলতো না। বর্তমানের ফিতনাময় যুগে তথাকথিত ফ্রি মিক্সিং চাকরির পরিবেশে নিজের ঈমান টিকিয়ে রাখা প্লাস দ্বীন ও শরয়ী পর্দা প্রোপারলি মানতে চায় এমন কারো জন্য এটা কতোটা কষ্টের আমি ছাড়া কেউ হয়তো অনুভব করতে পারছে না। আব্বু মার দিকে তাকিয়েই নিজের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে হালাল ইনকামের জন্য অফলাইন বা অনলাইন হলেও কিছু একটা করার চিন্তা করেছি। আব্বু মা বলে কিছু একটা করে ইনকাম করলেই তারা খুশি। কিন্তু আশেপাশের সবার কথায় প্রভাবিত হয়ে মাঝে মাঝে বলে একটা সিকিউর সরকারি চাকরি যেন করি, সরকারি চাকরির জন্য পরীক্ষা দিই। ভালো কাওকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেলে তখন ছেড়ে দিস সবকিছু। বড় ভাইয়া এখনো চায় আমি ভালো চাকরি করি। আমি সবাইকে শরয়ী ও সবদিক থেকে অনেক বুঝিয়েছি , সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে বললেও নেইনি। জানি না কতদিন এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবো। আমার বর্তমান অবস্থায় সেজন্য বিয়ে করাটা খুব জরুরি মনে হয়। আল্লাহর কাছে হালালভাবে কল্যানকর উপায়ে সব সমস্যার সমাধান চাই, চক্ষুশীতলকারী এমন কাওকে চাই যে এই পথে আমার হাত ধরবে, তার দ্বীনি গুনাবলীতে মুগ্ধ হয়ে কাওকে আমাকে নিয়ে আর চিন্তা হবে না। ** এখানে কথাগুলো বলার কারণ হলো নিজেকে ও নিজের পরিস্থিতি ক্লিয়ার করা। এজন্য প্লিজ আমাকে কেউ দুর্বল মনে করবেন না। আমি নিজের জন্য আল্লাহকেই যথেষ্ট মনে করি এবং তাঁর কাছ থেকেই কল্যানকরভাবে উত্তম ফয়সালা আশা করি💚** আমাকে বাসার বাইরে গিয়ে চাকরি করতে হবে না প্লাস আমার শারীরিক অবস্থা পাত্র ও তার পরিবার মেনে নিতে পারবে (আবেগের বশে বা দুনিয়াবি কোনো কিছুর বিনিময়ে নয়, অবশ্যই মন থেকে খুশি হয়ে), আমার প্রতি সবসময় পজিটিভ থেকে সাপোর্ট দিতে পারবে এবং আমাকে যোগ্য মনে হলে তবেই যোগাযোগ করার অনুরোধ।

• (৪) যোগাযোগ করার আগে ইস্তেখারা করে বায়োডাটা মেইল করার অনুরোধ রইলো।

• (৫) মেয়ে পক্ষ থেকে যৌতুক টাইপ বা বিনিময় হিসেবে কিছু নেওয়ার ইচ্ছা থাকলে দয়া করে যোগাযোগ না করার অনুরোধ

• (৬) অনুগ্রহ করে ছবি চাবেন না। সবকিছু ঠিক মনে হলে শরয়ীভাবে সরাসরি পাত্রী দেখার ব্যবস্থা করা হবে ইন শা আল্লাহ এবং এ ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান থাকা চাই। বিয়ের দিনও ইন শা আল্লাহ পর্দা করবো, নন-মাহরাম কারো সামনে যাবো না। পর্দা নিয়ে এতো ইনসিকিউরিটি ফিল করি এই সোসাইটিতে, সেজন্য এটা নিয়ে বারবার বলা।